শিলিগুড়ি, ২৭ অক্টোবরঃ পুজোতে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হলে সংক্রমণ হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে উৎসব না করে, শুধুমাত্র সাধারন ভাবে পুজোর পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। যদিও বিগত ক’দিন শিলিগুড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে ছিলো চোখে পড়ার মতো দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে গতকাল প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে মহানন্দার ঘাট এবং হিলকার্ট রোডে যে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে তাতে করে ফের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
গতকাল প্রতিমা নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড এবং মহানন্দার ঘাটে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। এদের মধ্যে অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। কম বয়সের ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে প্রবীণরাও অনেকেই ঘুরে বেরিয়েছেন মাস্ক ছাড়া। ফলে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তাদের মধ্যে সংক্রমণের বিস্তর আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত চিকিৎসক সুশান্ত রায় জানান, গতকাল শিলিগুড়িতে যে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তাতে হুহু করে বাড়ছে ভাইরাল লোড। এর ফলে করোনা হবে না ধরে নিয়ে যারা প্রকাশ্যে ঘুরেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা তো আছেই। আগামী সাতদিন আমরা পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখব। এই সময়ে জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করোনা টেস্ট করানোর আবেদন রাখছি। কারণ, সাধারণ জ্বর ভেবে কেউ বাড়িতে থাকলে সেক্ষেত্রে রোগ আরও ছড়াতে পারে। তবে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা বিভিন্ন এলাকায় RTPCR ভ্যান পাঠিয়ে টেস্ট শুরু করেছি এবং তা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
গতকাল মহানন্দা ব্রিজ ও তার সংলগ্ন এলাকায় এত ভিড় হয়েছিল যে মাঝে পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন করে সেই ভিড় কমাতে হয়েছিল ৷ তা সত্ত্বেও, কার্যত হিলকার্ট রোডের বিস্তীর্ণ এলাকায় থিকথিক করছিলো ভিড়। এদের মধ্যে অনেকেউ কেউ মাস্ক খুলে, কেউ আবার কানের পাশে ঝুলিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, করোনা মোকাবিলায় একমাত্র দাওয়াই সঠিক ভাবে মাস্ক ব্যবহার এবং ভিড় এড়িয়ে চলা। আমরা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি। কিন্তু মানুষের সম্পূর্ন সহযোগিতা না পেলে সমস্যা বাড়বেই।