বায়নাই হয়নি, অনিশ্চয়তার মেঘ কুমোরটুলিতে

0
240

ওয়েব ডেস্কঃ শরৎ আসন্ন ৷ নদীর তীরে অল্প বিস্তর দেখা যাচ্ছে কাশফুলের গাছ ৷ নীল আকাশে মাঝে মাঝেই ভাসছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ৷ আর এই সবই মনে করাচ্ছে সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে । কিন্তু মন ভালো নেই কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের । কোরোনার কারণে এখনও প্রতিমার বায়নাই হয়নি । আদৌ আগের মতোন বড় করে দুর্গা পুজো হবে তো? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন মৃৎশিল্পীদের কাছে ।

শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড়ের পাশেই রয়েছে কুমোরটুলি । স্বাধীনতার পরবর্তীতে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে প্রতিমা বানানোর কাজ করেন মৃৎশিল্পীরা ৷ পূর্ব পুরুষদের সেই পেশা এখনও ধরে রেখেছেন কয়েকজন মৃৎশিল্পী ।


এখানের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা জেলার বিভিন্ন মহকুমার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলাসহ পাহার ও সমতলের বিভিন্ন এলাকায় যায় । মহালয়ার আগেই ওইসব এলাকার পুজো মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা চলে যায় । তাই বৈশাখ মাস থেকেই কুমোরটুলির বিভিন্ন ঘরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় । কিন্তু এখন কুমোরটুলিতে শুধুই শুন্যতা।

শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে অধিকাংশ দুর্গাপ্রতিমার ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে যায় । পাশাপাশি বায়নাও সম্পূর্ণ হয়ে যায় । কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতির কারণে এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত পুজো বন্ধ রয়েছে বা নমো নমো করে হচ্ছে । কুমোরটুলির কিছু কিছু ঘরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হলেও অধিকাংশ মৃৎশিল্পী তাদের স্টুডিওতে এখনও প্রতিমা তৈরি শুরুই করেননি । যারা করেছেন তারা বড় দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করার সাহস দেখাতে পারছেন না । ছোটো একচালার প্রতিমার কাঠামো তৈরি করে বায়নার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ।

মৃৎশিল্পীরা বলেন, ‘‘কিছু ছোটো একচালার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছি ৷ এখনও সেভাবে বায়না হয়নি । বাড়ির পুজোর জন্যে দুর্গা প্রতিমা বায়না করতে এসেও কোরোনার ভয়ে অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না । বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলো কিছুই বলছে না ।’’ আর এক মৃৎশিল্পী বলেন, ‘‘অনেকেই আসছেন । কিন্তু কেউ বায়না করছেন না ৷ খোজ খবর নিয়ে চলে যাচ্ছেন।’’
মৃৎশিল্পীরা বলেন, ‘‘লকডাউনে বা কোরোনার কারনে মায়ের পূজা হবে না? আমরা আশায় আছি। দেরীতে হলেও বায়না হবেই ।’’