ওয়েব ডেস্কঃ গতকাল কোচবিহারে 32 কোরোনা আক্রান্তের সত্যতা স্বীকার করতে চায়নি কোচবিহার জেলা প্রশাসন। যদিও গতকাল গভীর রাতে আক্রান্ত ৩২ জনকে শিলিগুড়িতে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। মাটিগাড়ায় ওই কোভিড হাসপাতালে আজ ভোরে ওই আক্রান্তদের ভর্তি নেওয়া হয়।
গতকাল আক্রান্তের সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলেও আজ অবশ্য ৩২ আক্রান্তের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
এদিকে ওই ৩২ আক্রান্তকে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও দ্বিমত প্রকাশ্যে এসেছে। প্রশাসনের একটা অংশ জানিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার স্বার্থেই আক্রান্তদের শিলিগুড়ি পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে আরেক অংশের দাবি গত ২০ মে সোয়াব সংগ্রহের পর তার টেস্ট রিপোর্ট ৯ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর এসেছে। ধরে নেওয়া হচ্ছে তারা আরো কয়েক দিন আগে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে প্রত্যেকেই আক্রান্ত হওয়ার পর কমবেশী ১৪ দিন অতিক্রান্ত। ফলে তারা সকলেই প্রায় সুস্থ্য হয়ে যাওয়ার পথেই রয়েছেন। ফলে তড়িঘড়ি তাদের শিলিগুড়িতে না পাঠিয়ে কোচবিহারে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব ছিল।
টেস্ট রিপোর্ট এত দেরিতে আসার ঘটনার জেরেও ক্ষোভ রয়েছে প্রশাসনের অন্দরেই। কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হল গত ২০ মে। রিপোর্ট হাতে এল ২৯মে। অর্থাত নয়দিন সময় লেগেছে সোয়াব পরীক্ষা করতে। এর জেরে এই সময় সীমায় তারা বিনা বাধায় এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছেন। রিপোর্ট দ্রুত এলে আগেই এদের চিকিৎসা শুরু করানো যেত। তিনি আরো জানান, কোচবিহারে আমরা দ্রুত ল্যাব চালুর চেষ্টা করছি। তা চালু হলে আমরা দ্রুত সোয়াব টেস্ট করতে পারব।