ওয়েব ডেস্কঃ আপাতত ৫০ শতাংশ কর্মি নিয়ে চা পাতা তোলার কাজ করছে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলি। এর পরিস্থিতিতে মার খাচ্ছে উৎপাদন। এর জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছে চা বাগানগুলি। পরিস্থিতির জেরে রয়েছে লক আউটের আশংকাও। ফলে আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছে চা বাগান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
কোরোনা পরিস্থিতিতে চা বাগানগুলিতে ফার্স্ট ফ্ল্যাশ অর্থাত প্রথম পাতা তোলার কাজ অধিকাংশ বাগানেই হয় নি। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান টি আসোশিয়েশনের দাবি, প্রায় ১৪০ মিলিয়ন কিলো চা পাতা কম উৎপাদন হচ্ছে আসাম ও বাংলায়। যার জেরে আর্থিক ক্ষতির বোঝা প্রায় ২১০০ কোটি টাকা ছাড়াবে। যার জেরে আর্থিক সংকটে পড়তে চলেছে একাধীক চা বাগান।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকার ও সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্য বাংলা ও আসাম সরকারের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে ইন্ডিয়ান টি আসোশিয়েশন। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে এখনো নানা সমস্যার মধ্যে দিয়েই এগোতে হচ্ছে চা বাগানগুলিকে। সমস্যার সমাধান মেলেনি।
শিলিগুড়িতে, টি অকশন কমিটির সহ সভাপতি ও বণিকসভা সিআইআই এর তরফে প্রবীর শিল বলেন, কম বেশী সব বাগানেই উৎপাদন বিপুল ভাবে মার খেয়েছে। গড়ে ৫৫ শতাংশ কম উৎপাদন হচ্ছে বাগানগুলিতে। ফলে আর্থিক দিক দিয়ে একটা সংকট আসছেই। বাগানগুলি রুগ্ন হয়ে পড়া বা লক আউটের আশংকাও রয়েছে।